Saturday, October 22, 2016

পুজোর রেশ

দুর্গা পুজো শেষ, কিন্তু পুজোর রেশ এখনও আকাশে। কালিপুজোও দোরগোড়ায়। মন আজকাল ছোটবেলার দাপাদাপি, উৎসাহ, রোমাঞ্চঘন পুজোস্মৃতিগুলোকে বেশি হাতড়ায়। প্রায়শই হাতড়ায়। ছোটবেলা আমার সুখের ছিল এই টুকরো আনন্দগুলোর আনাগোনায়। সাঁত্রাগাছিতে মেট্রো, বেদুঈন ছিল না। পার্ক স্ট্রিট-এর জাঁক আর রোশনাই ছিল না। কিন্তু, এই পুজোর সময়টাতে সে অন্য অনেক বড় শহরের থেকে বেশি ধনী হয়ে উঠত। তাই আজো সে মনের চিলেকোঠায় বাস করে। যেখানে আমি আজও উঠে যাই। নিভৃতে।

শীতের আমেজ

হায়দ্রাবাদ (এপ্রান্তে বলে, হাইদরাবাদ)শহরটা আর যে যে কারণেই হোক, শীতের জন্যে খ্যাত নয়, বিখ্যাত তো নয়ই। কিন্তু, এবছরটা, একটু অন্য রকম হতে পারে। বাতাসে একটা শীতকালীন আমেজ। এ শহরের রীতি মেনে এটুকু অনেকটা। তা এই আমেজ গায়ে মেখে যখন অফিসমুখো হই বা হপ্তান্তে যখন সকালে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দি,  মনে পড়ে ছোটবেলায় শীতের দুপুরে লেপে সেঁধানোর কথা। মনে পড়ে, গায়ে দেওয়া লেপের নানান ভাঁজ আর খাঁজ, আর সেই আনাচে কানাচে না-ঘুমন্ত এই আমি সৃষ্টি করছি কিছু খেলা। এই কলম-ভিলেন ওঁত পাতে এই ভাঁজে কলম-নায়কের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে, তো ওই উঁচু হাঁটু-পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ডাকু মঙ্গল সিং। আর মা-বাবা যে লেপের তলায় ঘুমন্ত, ওটা অন্য এক জগৎ,  অন্য অ-জানা বিপদ সংকুল। আহ্, শীত রোদের আমেজ আর চায়ের স্বাদ দুই-ই বেড়ে গেল মনে হচ্ছে! হ্যাঁ, রোদের সঙ্গে ছোটবেলাও পীঠে চাপড় মারছে যে!

দীপাবলি

দীপ জ্বেলে যাই অন্ধকারে, অমানিশা তুচ্ছ করে।
দ্বারের পারে কে দাঁড়ায়ে, মিষ্টি হাসির ঝিলিক তুলে?
হোক না তিমির নিবীড়তম, শুভর আকাশ প্রদীপ জ্বলে।